ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ০৪ মার্চ ২০২০ | পড়া হয়েছে 364 বার
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর আর মধুর সম্পর্ক। অথচ নিজেদের কিছু ভুলে কিংবা অসচেতনতায় অথবা অবহেলায় এই সুন্দর সম্পর্ক কতটা তিক্ত হতে পারে এ ভাবনা থেকেই বড়জাহান হোসেন লিখেছেন ‘মরীচিকা’ নাটকের গল্প। এতে প্রাণসঞ্চারের মাধ্যমে বাস্তবতায় ফুটিয়ে তুলেছেন নাট্যকার ফারুক হোসেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের চলমান জীবনধারার মান কোনদিকে বাক খাচ্ছে এ বিষয়েই শিক্ষনীয় কিছু ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে ‘মরীচিকা’ নাটকে।
স্বপ্ন নিবেদিত ‘মরীচিকা’ নাটকে অভিনয় করেছেন, আনিসুর রহমান মিলন, নাজিরা মৌ, এনি খান, সাইফ খান সহ আরো অনেকে।
অর্ক টিভির ব্যানারে আপলোড করা এ নাটকে দেখানো হয়েছে , একই ছাদের নীচে বসবাস করেও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দিন দিন দুরত্ব তৈরির কি কারন। দ্বন্দ্ব-কলহ লেগে থাকার রহস্য কি! নিজেদের ভুলের প্রভাব পরছে সন্তানের ওপর।নিজেদের অজান্তেই সন্তানকে হতাশা আর অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন। এই সব পরিবারের সন্তানেরা পিতা-মাতার এইসব দ্বন্দ্ব-কলহ দেখতে দেখতে মানসিক ভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়ছে, হতাশা আর গ্লানি তাদের করছে বিপথগামী। অথচ, একটু নিজেদের সচেতনতায়, বোঝাপড়ায় আমাদের পরিবারটি হতে পারতো সুখি-সুন্দর।
আমাদের সবার জীবনেই কমবেশি দুঃখ,অপুর্নতা, হতাশা বিদ্যমান। একটা বিষয় খেয়াল করলেই বুঝা যায় প্রতিটা সম্পর্ক ফাটলের প্রধানতম কারন থাকে সন্দেহপ্রবণতা বা সন্দেহ বাতিকগ্রস্ততার কথা। সন্দেহপ্রবণতা এমন একটি ঘুণ যা শুধু নিজেকেই ধ্বংস করে না, চারপাশের সবাইকেই এক চরম পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। এই একটি মাত্র বৈশিষ্টের উপস্থিতিতে আমরা হতে পারি চরম ঘৃণিত, আবার এই বৈশিষ্টের অনুপস্থিতিতে অথবা নিয়ন্ত্রণের কারণে আমরা সবার কাছে হতে পারি অনুকরণীয়, আদর্শ। বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মাঝামাঝি যে নেতিবাচক অনুভূতি, কু-চিন্তা আমাদের অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেটাই মুলত: সন্দেহ। এই অহেতুক, অমুলক সন্দেহের কোনো নির্দিষ্ট কারণ থাকেনা। প্রতিনিয়ত আধুনিকতার নামে আমরা যান্ত্রিক আর একঘেয়ে জীবন যাপন করছি। ব্যস্ততা বৃদ্ধির সাথে সাথে হতাশা, অন্তর্দন্দ্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, জন্ম নিচ্ছে সন্দেহ।