অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ০৫ জুন ২০১৬ | পড়া হয়েছে 1589 বার
বাংলা পপ সঙ্গীতের কিংবদন্তী নাম আজম খান। মানুষটিকে তরুণ সমাজ চেনে ‘পপ সম্রাট’ হিসেবে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই গেরিলা যোদ্ধা ২ নম্বর সেক্টরে খালেদ মোশাররফের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন। আজম খানের উল্লেখযোগ্য অপারেশন হচ্ছে “অপারেশন তিতাস”। তাঁর নেতৃত্বে গ্যাস লাইন ধ্বংস করে ঢাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেন গেরিলারা। তারই নের্তৃত্বে ঢাকার অদূরে মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে ও কালিগঞ্জের সম্মুখ সমরে পাকসেনাদের হটিয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। আরবান গেরিলাদের যে দলগুলো বিজয়ের অনেক আগেই ঢাকা প্রবেশ করেছিল তার মধ্যে অগ্রগন্য ছিল তার দল। গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ২০ নভেম্বর ঢাকায় প্রবেশ করেন আজম খান। যুদ্ধের মধ্যেও তিনি কখনো গান ছাড়েননি। জননী জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলিতেও সে কথা লেখা আছে। আজম খান মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে এক মহা ঘটনা। ব্যক্তিসত্তার ঊর্ধ্বে উঠে একজন শিল্পী কীভাবে নিজেই একটি ঘটনা হয়ে যান, আজম খান তারই প্রকৃত উদাহরণ। আজম খানকে তাই শুধু একজন শিল্পী হিসেবে চিহ্নিত করা সঠিক নয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব ও পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষোভ-আনন্দ, প্রেম-বেদনা, জীবন-মৃত্যুর অনুভব সবকিছু অবলীলায় তাঁর সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন। আজ এই কিংবদন্তী শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী। দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের এ দিনে তিনি অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে কাঁদিয়ে দেহত্যাগ করেন।১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০নং সরকারি কোয়ার্টারে মা জোবেদা খাতুনের কোল আলো করে পৃথিবীতে আসেন আজম খান। তার পুরো নাম মাহাবুবুল হক খান, যিনি পরবর্তী সময় পরিচিত হন আজম খান নামে।