| শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | পড়া হয়েছে 463 বার
বিশ্ববরেণ্য সঙ্গীত সাধক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ। ১৮৬২ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। ১৯৭২ সালে ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে তার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের রাগ সঙ্গীতের বিভিন্ন রাগের স্রষ্টা ও অনেক নামকরা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বাদকের গুরু। ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খাঁ সাহেব’ উপাধি দেন।
ভারত সরকারের কাছ থেকে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ বিভিন্ন সম্মাননা ও পদক পেয়েছেন। এর মধ্যে সংঙ্গীত নাটক একাডেমী সম্মান (১৯৫২), পদ্মভূষণ (১৯৫৮), পদ্মবিভূষণ (১৯৭১), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬১), দেশিকোত্তম এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর অব ল উপাধি। ১৯৫৪ সালে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক প্রথম সঙ্গীত নাটক একাডেমী ফেলো নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল তাকে আজীবন সদস্যপদ দিয়েছে।
নবীনগরের শিবপুরে এ সঙ্গীত সাধকের জন্মভূমি দেখার জন্য এখনো দূরদুরান্ত থেকে লোকজন আসে। এখানে রয়েছে তার নিজ হাতে গড়া একটি মসজিদ। এলাকাবাসীর উদ্যোগে গড়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে বর্তমানে বসতভিটা অযন্তে ও অবহেলায় পরে আছে। পুকুরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তার বসত বাড়ী। এখানেই রয়েছে তার মা-বাবার কবর।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ২২ শতক জায়গা জেলা প্রশাসনকে দান করা হয়েছিল। এখানে একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল, তা দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন হয়নি। এ ছাড়াও তার জেলা শহরের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে আলাউদ্দিন সংঙ্গীতাঙ্গন। এখানে তালিম নেয় এ প্রজন্মের সঙ্গীত শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়দের দাবি, তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য দ্রুত এখানে একটি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং সরকারিভাবে তার জন্ম ও মৃত্যুদিবস পালন করা হোক।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন জানিয়েছেন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে শিগগিরই একটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।