| বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | পড়া হয়েছে 257 বার
যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীমের বিরুদ্ধে (জি কে শামীম) গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা দুই মামলায় ফের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম শুনানি শেষে মানি লন্ডারিং মামলায় ৫ দিন ও অস্ত্র মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এসময় গুলশান থানায় দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। এরপর মানি লন্ডারিং মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন সিআইডি পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। অন্যদিকে, অস্ত্র আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন র?্যাব-১-এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। এদিকে, বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তিনি বসে পড়েন। এসময় তাকে বুক চেপে ধরতে দেখা যায়।
এসময় জি কে শামীমের আইনজীবীরা বলেন, তিনি (শামীম) অসুস্থ। বিএসএমএমইউতে তার চিকিৎসার জন্য আমরা একটি আবেদন দিলাম। আইনজীবীরা শুনানি দীর্ঘায়িত করতে চাইলে বিচারক বলেন, আসামি নিজেই অসুস্থবোধ করছেন তাই আপনারা শুনানি দীর্ঘ করবেন না। এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মানি লন্ডারিং মামলায় পাঁচদিন ও অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর ফলে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে ফের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের দাবি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন। এর আগে, মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানি লন্ডারিংয়ে জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। ওই দিন জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর আদালত বুধবার জিকে শামীমের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের মামলা ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা রয়েছে।
র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযানে জি কে শামীমের অফিসের লোহার সিন্দুক থেকে নগদ অর্থ, চেক বই, এফডিআর ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। সেখানে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৯ হাজার ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এছাড়া আসামির মায়ের নামে ১০টি এফডিআরে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও চেক বইয়ের পাতা জব্দ করা হয়। র্যাবের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অর্থ পাচার আইনের এ মামলাটি করেন। রিমান্ড আবেদনে আরো বলা হয়, ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানে জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী (ক্যাসিনো) হিসেবে পরিচিত। তার সাত বডিগার্ড দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজেদের লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্য বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে। তারা টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে। এর মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হলেও ব্যাপক তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ফের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। গত ২০শে সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করে র্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপর এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা শামীমের নামে। একই সঙ্গে পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।
সুত্র-মানব জমিন
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |