ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ০২ নভেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 4368 বার
ইব্রাহিমপুর গ্রামে এলাকাবাসীর হাতে ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক মাদক ব্যবসায়ীকে থানায় সোপর্দ না করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় জিনদপুর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়াকে(২৩) কে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পাড়া (পাল বাড়ি বাজার এলাকা) থেকে মাদক দ্রব্য বেচাকেনা করার সময় স্থানীয়রা আটক করে। ওই সময় জুয়েলের কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে এলাকাবাসী। সে সময়ে জুয়েলের সাথে থাকা অপর সহযোগী (হাতে ছিল কাপরের ব্যাগ) পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর ধারনা, তার সহযোগীর কাছে ওই ব্যাগে ইয়াবার চালান ছিল, সেটি নিতেই জুয়েল এ এলাকার জনমানবহীন নীরব স্থানে এসেছিল।
শেষে স্থানীয়রা জয়েলকে একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম (মনা মিয়া নামে পরিচিত) ব্যক্তির জুয়েলকে কাছে নিয়ে আসে। সেসময় শতাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে মনা মিয়া পাশের জিনদপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার হাবিব মিয়া ও নিজ এলাকা ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার ইব্রাহিম মিয়াকে ডেকে সিদ্ধান্ত নেন আটক ব্যক্তিকে থানায় সোপর্দ করা হবে।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুসাকে ফোনে বিষয়টি অবগত করে এলাকার রহিছ মিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছে জুয়েলকে দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়।
অভিযোগ উঠেছে, রহিছ মিয়া টাকার বিনিময়ে রাস্তা থেকে জুয়েলকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এ বিষয়ের সত্যতা জানতে গতকাল ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মনা মিয়া, ওয়ার্ড মেম্বার ইব্রাহিম মিয়া ও পাশের ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার হাবিব মিয়ার কাছে গেলে তারা ও এ অভিযোগ করেন।
রহিছ মিয়া এ বিষয়ে বলেন, এলাকাবাসীর উপস্থিতে জুয়েলকে আমার কাছে দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তারা পরে জুয়েলকে ওদের হেফাজতে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
উভয়ের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে স্থানীয়দের ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। তাদের প্রশ্ন মাদক নির্মুলের লক্ষ্যে প্রানান্ত প্রচেষ্টার স্বার্থকতা কি? যদি নীতিনির্ধারকের কাছে সব বিক্রি হয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অনেকের মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে, নবীনগরে সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন যেখানে মাদক নির্মুল করতে অঙ্গিকারবদ্ধ। সেখানে আটকের পর ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গুটিকয়েক ব্যক্তির স্বার্থ আদায়ের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়াটা তদন্ত করে দেখা উচিত এর নেপথ্যে কারা কলকাঠি নাড়ছে।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মুসা জানান, ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটকের খবর তিনি শুনেছেন, তাকে ফোন দিয়ে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে পাঠানো বলা হলেও রাত বারোটা পর্যন্ত তার কাছে কেউ আসেনি বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে তার অবস্থান স্বচ্ছ, এ ঘটনাটি সুষ্ট ফয়সালা দরকার বলে মনে করেন তিনি। না হলে মাদক নির্মুলের সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।