ডেস্ক রিপোর্ট | শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 3331 বার
পৌর এলাকার ভোলাচং দাশ পাড়ার বাসিন্দা কার্ত্তিক দাশ। এক সময় মাছ ধরা পেশায় নিয়োজিত ছিল সে। সময় বদলের সাথে সাথে পেশাও বদল হয়েছে কার্ত্তিকের। এখন কুড়াল আর দা নিয়ে আহার সংগ্রহে নিত্য দিন বের হতে হয় তাকে। পৈতৃক পেশা মাছ ধরা বাদ দিয়ে এখন সে কাঠুরিয়া হয়েছে। অন্যের গাছ কাটার মাধ্যমে যা আয় হয় এ দিয়ে টানাটানিতে তার সংসার চলে। ভাই না থাকায় ছয় জনের মুখে ভাত তোলার দায়ীত্ব একাই সে পালন করছে বহু দিন ধরে। গাছ কাটতে গিয়ে প্রায়ই তাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাছের ডাল পালা কাটতে হয়। গত দুইদিন আগে সরু দুই ডালে পা রেখে কার্তিকের গাছ কাটা দেখে থমকে দাঁড়ায়। শুধুমাত্র আমি কেন! এ দৃশ্য অন্যকেও ভয় পাইয়ে দিবে। একটু অসতর্কতার ফলে চোখের পলকে পা ফস্কে প্রান প্রদীপ নিভে যেতে পারে তার। এ ভাবনা রয়েছে কি তার। এ প্রশ্ন শুনে ক্লান্তি মুখে সে জানায়, ভাইরে পেটের ধান্দায় এই কাজ করি। বাপ দাদারা জাইল্লা আছিলো। মাছ ধরতো, আমিও তাই চাইছিলাম। সে জানায়, আগের মত এখন আর মাছ পাইনা। আগে সড়কের আশেপাশের খাল ডুবায় মাছ থাকতো প্রচুর। এখন সেগুলো ভরাট করায় মাছ ধরতে পারিনা। পুঁজি শুন্য কার্তিকের ইচ্ছে ছিল হাতে টাকা থাকলে পুকুরে মাছের চাষ করবে। সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। তার সে আশাও নিষ্ফল হল। তাই বাধ্য হয়েই এ কাজে এসেছে সে।
তার বাবা শুতিশ দাশ অনেক আগেই গত হয়েছেন। সে কারনে অল্প বয়সে তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। এলাকার শংকর চৌধুরী জানান, তিনি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছেন, কার্ত্তিক দাশ মই জাল, কনি জাল, হরা জাল দিয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মাছ ধরে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে ঘরে চাল ডাল নিয়ে আসতো। এখন আগের মতো এ সুবিধা না থাকায়, সে পেশা পাল্টিয়েছে।