ডেস্ক রিপোর্ট | শুক্রবার, ২২ মে ২০২০ | পড়া হয়েছে 828 বার
অবশেষে মহেশ চন্দ্র ভট্রাচার্যের অন্তিম প্রয়ানের ছয় যুগ পরে হলেও উনার জন্মভুমিতে কীর্তিমান এ মানুষটির নামানুসারে বিদ্যাপীঠ তৈরি হয়েছে।
দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্রাচার্য বেঁচে থাকাকালীন সময়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন তিনিও বিটঘরের আরেক কৃতি সন্তান মুনতাসির মহিউদ্দিন অপু।
যিনি স্থানীয়ভাবে বিটঘরের আরেক বিশিষ্ট দানবীর যোগ্যউত্তরসূরী হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত পেয়েছেন।
সরজমিন খোজ নিয়ে দেখা গেছে, কলেজটির অবকাঠামো সহ যাবতীয় নির্মাণ কাজ সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন ও ছাত্র ছাত্রী ভর্তির অপেক্ষায় আছে সদ্য নির্মাণাধীন এ বিদ্যাপীঠটি।
দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য বিটঘর গ্রামের একজন কৃতিসন্তানই নন, তিনি একজন কিংবদন্তী। জীবদ্দশায় নিজের আয়ের বেশিরভাগ টাকা দান করে প্রতিষ্ঠা করেছেন, কুমিল্লায় ঈশ্বর পাঠশালা, দাতব্য চিকিৎসালয়, মায়ের নামে গড়ে তোলা রামমালা গ্রন্থাগার, রামমালা ছাত্রাবাস, নিবেদিতা ছাত্রীনিবাস ইত্যাদি আজও আলো ছড়িয়ে চলেছে সরকারি সহায়তা ছাড়াই (ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে) এছাড়াও ভারতের কাশিতে নিজের অর্থে ১৯১০ সালে (আজ থেকে ১১০ বছর আগে) ‘বিদ্যাপীঠ’ প্রতিষ্ঠা করেন মহান এ মানুষটি। শিক্ষা বিষয়ে মহেশ চন্দ্রের নিজস্ব দর্শন ছিল। তিনি মনে করতেন, একমাত্র শিক্ষাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে, করে তুলতে পারে আত্মনির্ভর। সেই বৃটিশ আমলে নিজ জন্মভূমি বিটঘরে একটি মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সে সময়ে জমিদারদের মাঝে এক ধরনের দাম্ভিকতা কাজ করতো। তারা চাইতোনা একজন প্রজার এমন মানবিক গুনাবলি সাধারণ মানুষের মনে গাথা থাকুক।
সেসময় বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত কলেজটি আর প্রতিষ্ঠা করা হয়ে উঠেনা দানবীর খ্যাত মহেশ চন্দ্র ভট্রাচার্যর।
লিংক >>বিটঘর গ্রামের কৃতিসন্তান দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য কিংবদন্তী একজন
একটা কথা না বললেই নয়, দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্রাচার্য কতটা উদার ছিলেন তার সৃষ্টির মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায়। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন সেসময়ে প্রতিবছর আয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা দান করে শিক্ষা বিস্তারে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখেন। এতোবড় মনের মানুষকে আমরা আজ ভুলতে বসেছি। লিংক>> মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য কি কারণে বিখ্যাত জানুন তবে উনার নামানুসারে নিজ জন্মভূমিতে এ বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মহেশ চন্দ্রের মতো একজন মহান শিক্ষানুরাগীর প্রতি জাতির ঋণ সামান্য হলেও লাঘব হবে মনে করছেন এলাকার গুণীজন।