ডেস্ক রিপোর্ট | রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭ | পড়া হয়েছে 5152 বার
ইরানের আওকাফ ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলতি মাসে ৩৪তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে।
প্রতিযোগিতায় ৩০ পারা হেফজুল কোরআন, কেরাত, নারী ও অন্ধদের নিয়ে আলাদা গ্রুপ থাকবে। আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতার বাংলাদেশি প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ প্রতিযোগিতা যা ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
প্রতিযোগিতায় হেফজ বিভাগে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ১৯ বছর বয়সী বরিশালের হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম। কেরাত বিভাগে ময়মনসিংহ জেলার ৩৫ বছর বয়সী কারি আবু সালেহ মো. মুসা। নারী গ্রুপে ঢাকার কারি মাহমুদা ও অন্ধ বিভাগে ১৮ বছর বয়সী হাফেজ আবদুল করিম।
আব্দুল করিম প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গত ১৮ এপ্রিল ইরানের উদ্যেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
২০১৬ সালে ইরান প্রথমবারের মতো অন্ধদের নিয়ে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গতবার অন্ধদের বিভাগে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেয়।
১৯৮১ সাল থেকে ইরানে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গোটা বিশ্বে পবিত্র কোরআনের সমৃদ্ধ বাণীকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং কোরআনের চর্চা বাড়ানোই এ প্রতিযোগিতার প্রধান উদ্দেশ্য।
বিজয়ী প্রতিযোগীদের সবাইকে নগদ অর্থ ও সনদসহ বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়।
অন্ধ বিভাগে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হাফেজ আবদুল করিমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে। আবদুল করিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নোয়াগাঁও দারুল উলুম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এছাড়াও আব্দুল করিম হাফেজ কারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত যাত্রাবাড়ী মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র ছিলেন।
২০১৬ সালে এই মাদরাসার আরেক ছাত্র অন্ধ হাফেজ তানভির হোসাইন ইরানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ৪র্থ স্থান অর্জন করে। হাফেজ তানভির সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আরেক (২০১৬) প্রতিযোগিতায় ৭৩টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করে। এছাড়াও এ মাদরাসার বেশ কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষক বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে দেশের সুনাম অর্জনে অবদান রেখেছেন।