ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০১৭ | পড়া হয়েছে 1515 বার
উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের ১১০ নং মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। যা কিনা নির্মাণের ৭৫ বছরেও সংস্কারকাজের অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে।
উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটা কক্ষ জরাজীর্ণ থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়েই ক্লাস করছে এ অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
সরজমিন ওই অঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করার সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবসময় আতংকে থাকেন। যে কোন মহুর্তে ভবন ধসে ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটার আশংকায় তাদের মনে ভীতি কাজ করে প্রতিনিয়ত।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পাশে দুই রুমের একটি টয়লেট থাকলেও তা একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী।
মোল্লা গ্রামের কয়েকজন মুরব্বী জানালেন,কচিমনা শিশুদের অক্ষরজ্ঞান শেখার শুরুর মাধ্যম হল প্রাইমারি স্কুল। এখানে সুষ্ঠ পরিবেশের অভাবে শিশুদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবণে পাঠদান হওয়ায় কোমলমতি শিশুদের অনেকেই লেখাপড়ায় তেমন মনোযোগী হতে পারছেনা।
এছাড়াও এলাকাটি প্রত্যান্ত অঞ্চল হওয়ায় এখানে শিক্ষার হার তেমন উল্ল্যেখযোগ্য নয়। তারপরে জরাজীর্ণ পরিবেশে পাঠদানের কারনে এতে লেখাপড়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে অনেকেই। যার ফলে শিশুরা শুরু থেকেই ঝরে পড়ছে।
স্থানীয় সুশীল মহল মনে করেন, শিশুদের ঝরে পড়া রোধ ও লেখাপড়ায় আগ্রহী করে তুলতে দ্রুত একটি স্কুল ভবণ নির্মাণ জরুরী। তাই সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি কামনা করেন তারা।