দিপু আহমেদ | সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 5956 বার
নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের বাড়িখলা গ্রামে অন্তস্বত্তা এক গৃহবুধুর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এটি আত্মহত্যা নাকি পরকল্পিত হত্যাকান্ড এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । সোনিয়া (২৪) নামে ওই গৃহবধুকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লায় পরে ঢাকার বার্ন ইউনিট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিতসাদিন অবস্থায় সে মারা যায়। সোনিয়া বাইরাইন প্রবাসী নাজমুল মিয়ার স্ত্রী। নাজমুল বাড়িখলা উত্তর পশ্চিম পাড়ার সামসুর রহমানের ছেলে । নাজমুল চলতি বছরের মার্চ মাসে বাইরাইন থেকে দেশে এসে বর্তমানে বাড়ির পাশের এক দোকানে সিঙ্গারা পুরি বিক্রি করেন।
সোনিয়ার বাবার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার নবগঠিত বাংগরা বাজার থানার সাগোদা গ্রামে। ওই গ্রামের দুলাল সরকারের মেয়ে সে। নাহিদ নামে তার একটি চার বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সকাল ৯ টার দিকে চাপা চিতকার শুনে সোনিয়ার শাশুরী ও স্থানীয় লোকজন সোনিয়াকে বাড়ির পাশে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে। এ সময় আগুনে পুরে সোনিয়ার মুখমন্ডল পুরে দগ্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় এক ছেলে সে সময়ের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখায় এতে দেখা যায়। সোনিয়া যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। দু হাত এদিক সেদিক নাড়াচাড়া করে অষ্পষ্ট স্বরে কি যেন বলতে চাইছে। পরে চিকিতসার উদ্যেশে সেখান থেকেই তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। চিকিতসকরা জানিয়েছেন তার দেহের ৮০ ভাগের উপরে পুরে গেছে। চিকিতসাদিন অবস্থায় ঘন্টাখানেক থাকার পর সেখানেই তিনি মারা যায়। রাত নয়টার দিকে সোনিয়ার লাশ আনা হয় বাড়িতে।
তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে নাজমুলের এক আত্মীয় আল মামুন সোনিয়ার পাশে ছিলেন, তার সাথে কথা হয় মোবাইল ফোনে, তিনি জানালেন, সোনিয়া গাড়িতে থেকে বারবার তার ছেলের (নাহিদ) কথা জিজ্ঞেস করছিল, আর তার স্বামীর কাছে কি যেন বলতে চাইছিল। তার স্বামী অন্য গাড়িতে থাকায় আল মামুন তার কাছে বলতে বললে সোনিয়া তখন নিশ্চুপ থাকে বলে জানালেন তিনি।
স্থানীয়ারা আরো জানায়, সোনিয়া পাচ মাসের গর্ভবতি ছিল। এ ঘটনায় স্থানীয়রাও হতবাক। কি কারনে এই ঘটনা ঘটেছে তারা কেউ এর সুদোত্তর দিতে পারেনি। খবর পেয়ে ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান বাড়িতে পৌছলে সোনিয়াকে তখন ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানালেন। তিনি জানান, সকাল ৯টা ৭ মিনিটে তার মোবাইল ফোনে আগুনে সোনিয়ার দেহ পুরে গেছে খবর আসলে তিনি সেখানে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে টয়লেটের সামনে সোনিয়ার ব্যবহৃত কাপরের আংশিক পুরা অংশ পরে গেছে। এলাকার গ্রাম পুলিশ আবুল খায়ের জানালেন তিনি পরিক্ষার ডিউটিতে যাবার প্রস্তুতি নেয়ার সময় এ খবর শুনে সেখানে ছুটে যান, তিনি জানালেন, সোনিয়াকে টয়লেটের সামনে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তার মুখের পুরু অংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে চেনা যাচ্ছেনা।
নাজমুলের ফুফু একই গ্রামের হাফেজা ইসলাম তিনি খবর পেয়ে ছুটে আসেন। শুন্য বাড়িতে তখন কেউ না থাকায় তিনি খালি বাড়িতে সারাদিন ছিলেন। তিনি বলেন, সোনিয়ার এ ঘটনার খবর পেয়ে তার বাবার বাড়ির লোকজন এসে হুমকি ধামকি দিয়ে গেছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |