মোঃ জাকারিয়া | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 11861 বার
নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের বাশবাজার সংলগ্ন (পুর্ব কুমোর পাড়া) এলাকায় গতকাল (৭/১২) দিবাগত ভোররাতে ফাঁস লাগিয়ে স্বামী স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
নিহতরা হলেন, এলাকার নরেশ পালের ছেলে মিঠুন পাল (মিন্টু) ও তার স্ত্রী বিউটি রানী পাল।
নবীনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।
মিঠুনের বাবা নরেশ পাল জানায়, রাতে ঘরের সবাই একসাথে ভাত খেয়ে যার যার রুমে ঘুমাতে যান। একই ঘরের এক রুমে থাকেন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে। পাশের রুমে তার ছেলেও ছেলের বউ।
আনুমানিক পঞ্চাশোর্ধ নরেশ পাল বাড়িতে মৃৎশিল্পের কাজে জড়িত রয়েছেন। তিনি আরো জানান, তার স্ত্রী সকালের দিকে বিউটিকে ঘরের দরজা খুলতে ডাকাডাকি করেন। অনেকক্ষন ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে তার স্ত্রী পাশের বাড়ির জনৈক মহিলাকে ডেকে আনেন। ওই মহিলা আসার পরে তিনিও অনেকক্ষন ডাকাডাকি করেন। পরে সবাই মিলে গায়ের জোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা খোলে ভিতরে ঢুকে দুজনকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান ।
মিঠুনের মা জানায়, তিনি ভোরে ঘুম থেকে উঠে বিউটিকে ঘর লেপার কাজ করতে দেখেছেন। এর কিছু সময় পর বিউটি নিজের রুমে ঢুকে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেন। এর কয়েকঘন্টা বাদেই আত্মহত্যার বিষয়টি তাদের নজরে আসে।
তবে মিঠুনের মায়ের বক্তব্যে স্পষ্ট হয় ঘটনাটি ভোরের দিকে ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘরের তীরের সাথে শাড়ীর আচল দিয়ে দুজনের ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল ) নবীনগর থানা ও অফিসার ইনচার্জ ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ পিপিএম ঘটনাস্থলে যান। পুরু বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে নিহতদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন।
পুলিশ স্বামী স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানোর প্রস্থুতি নিচ্ছে বলে থানা সুত্র জানিয়েছে।
উল্ল্যেখ্য, মিঠুন চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পাক ঔরসপুর নোয়াহাটি গ্রামের মানিক পালের মেয়ে বিউটির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের পরে স্বামী স্ত্রী ইন্ডিয়ায় ছিলেন দীর্ঘদিন। সেখানে সেলুনের দোকানে কাজ করত মিঠুন।