ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 25749 বার
নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত এক যুবক ভুয়া পুলিশ সেজে মামলার ওয়ারেন্ট আছে ভয় দেখিয়ে আসামীকে গুলির নির্দেশ নয়তো দুই লক্ষ টাকা দিলে মামলা শেষ বলে ভয় দেখালে ওই আসামি কোশলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় নবীনগর থানায় খবর দিলে পলিশ এসে ওই ভুয়া পুলিশকে আটক করে।
সুত্র জানায়, উপজেলার বড়াইল গ্রামের মরহুম ওমর ফারুকের কন্যাকে বিগত ২ বছর পূর্বে এই ভুয়া দারুগা সৌরব বিয়ে করে পালিয়ে যায়। বিয়ের পরে তার কোন খোজ খবর না পাওয়ায় গত ছয় মাস পূর্বে ওই মেয়ে তাকে কোর্টে ডিভোর্স দেয়। ওই মেয়ের মাকে সে গত এক মাস পূর্বে ফোন করে জানায় তার পুলিশে চাকরী হয়েছে। এই সুবাদে য়াজ বুধবার বিকালে মরহুম ওমর ফারুকের বাড়িতে ওই ভুয়া দারুগা খেলনার পিস্তল ও ভুয়া ওয়ারেন্ট নিয়ে তার ছেলে জনিকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখায়। ভুয়া দারুগা জনিকে ২ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য বলে এবং টাকা দিলে সব সমস্যা সমাধান করে দিবে বলে জানায় সে। জনি স্ব-কৌশলে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন কে খবর দিলে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে পোশাকের উপর দারুগার সোল্ডার না থাকায় সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
ওই ভুয়া পুলিশ সৌরব মিয়ার (২৮) বাড়ি লাকসাম থানার কাপসতলা উত্তরপাড়া গ্রামে। সে ওই এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে । সে জানায় পুলিশের পোষাকটি কুমিল্লা থেকে ক্রয় করছে সে। পুলিশ তার নিকট হতে আদালতের ভুয়া কাগজ পত্র ও ভুয়া পুলিশের পরিচয় পত্র উদ্ধার করে।
ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ পিপিএম সত্যতা স্বীকার করে বলেন সে একেক সময় একেক ঠিকানা বলছে। তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, সবুজ পুলিশের কোনো লোক নয়। তার কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।