| শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭ | পড়া হয়েছে 4583 বার
নবীনগর সদরে হাসপাতাল সড়কে আহমেদ প্রাইভেট হাসপাতালে ভূয়া গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের হাতে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক প্রসূতীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২০/৭) দুপুরে।
এই ঘটনায় প্রসূতীর স্বামী মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ডাক্তার ও প্রতিষ্ঠান মালিকের বিরুদ্ধে থানায় খুনের মামলা দায়ের করে। পুলিশ হাসপাতালের মালিক মোঃফরিদ আহমেদ(৫৫)কে গ্রেপ্তার করলেও ওই ভূয়া ডাঃমোঃশফিক উল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়,নবীনগর পৌর এলাকার মাঝিকাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ শরীফা আক্তার ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় প্রসব বেদনা উঠিলে তার স্বামী ও বাড়ির লোকজন তাকে বৃহস্পতিবার(গতকাল) সকালে আহমেদ প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃশফিক উল ইসলাম নিজেকে গাইনী বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে ওই হাসপাতালের মালিক মোঃ ফরিদ আহমেদের পরামর্শে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই সীজারের
সিদ্ধান্ত দেয় এবং তাদের কাছ থেকে কিছু
কাগজপত্র স্বাক্ষর করে নেয়। পরে ও.টি তে
নিয়ে ডাক্তার ২ঘন্টা যাবৎ শরীফার অপারেশন করে।
পুত্র সন্তানের জন্ম নিলেও তার অবস্থা ভাল
না থাকায় ডাক্তার তাকে কুমিল্লায় রেফার্ড করে এবং শরীফা ভাল আছে বলে জানায়।
তখন শরীফার রক্তপাত হওয়ায় তার শিশু কন্যা
শইলী সহ আত্মীয়স্বজন থেকে পাচঁ ব্যাগ রক্ত নিয়ে শরীফার শরীরে দেয়ার পরও রক্তপাত হতে থাকে।তারপরও ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীফাকে আত্মীয়স্বজনের অনুরোধ করার পরও কুমিল্লায় রেফার্ড করেনি। প্রসূতীর অবস্থার অবনতি হলে দুপুরের পর ডাক্তার তাকে কুমিল্লায় রেফার্ড করলে বেশী রক্তক্ষরনের ফলে পথিমধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনায় প্রসূতীর মৃত্যুর খবরে তার আত্মীয়স্বজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওই হাসপাতালে হামলা চালায়।
প্রসূতী আত্মীয় আরজুদা বেগম রোজি বলেন, সার্জারী ডাক্তার না হয়েও ভূয়া পরিচয় দিয়ে সীজারের মাধ্যমে ইচ্ছে করেই তাকে মেরে ফেলেছে। আমরা বলার পরও সে রোগীকে সময়মত রেফার্ড করেনি,মারা যাওয়ার পর রেফার্ড করে।আমি এর সঠিক বিচার চাই,আর যেন নবীনগরে এঘটনা না ঘটে।
হাসপাতালের মালিক ধৃত ফরিদ আহমেদ এ
অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ভর্তির সময় রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল,তাদের জোর অনুরোধে সকল নিয়মনীতির মাধ্যমেই সীজার করানো হয়।
ওসি আসলাম সিকদার বলেন,নিহতের স্বামী মামলা করায় ওই হাসপাতালের মালিক ফরিদ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,ওই ভূয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।