ডেস্ক রিপোর্ট | রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | পড়া হয়েছে 2642 বার
নবীনগর উপজেলায় গত ইউপি নির্বাচনের প্রতিহিংসার জের ধরে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সফিকুল ইসলামের নামে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ বাদী হয়ে যুবদল সভাপতি সফিকুল ইসলামসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেন। এতে বৃহস্পতিবার রাতে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ সময় তাকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে বলে তার পরিবারের লোকজন দাবি করেন। ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যুবদল সভাপতি সফিকুল ইসলাম সফিকের বড় ভাই আমির হোসেন বাবুলের কাছে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান সিরাজ। ২০ ফেব্রুয়ারি শ্যামগ্রাম বাজারে তমালিকা শিল্পালয় নন্দলাল কর্মকারের দোকানে বসে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ চা পান করছিল। এ সময় বাবুল চেয়ারম্যান পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শাহজাহান সিরাজ উস্কানিমূলক আচরণ করলে বাবুল চেয়ারম্যান প্রতিবাদ করেন। এই ঘটনার জের ধরে দু’জনের কর্মী সমর্থকদের মাঝে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি শাহজাহান সিরাজ বাদী হয়ে আমির হোসেন বাবুল চেয়ারম্যানসহ তার ভাই, ভাতিজা ও কর্মীসহ ৭ জনকে আসামি করে ৩০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে নবীনগর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি সফিকুল ইসলাম ও তার ভাই বুলবুল ইসলামকে ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। বাবুল চেয়ারম্যানের মা হাসিনা বেগম, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শিখা বেগম, ভাতিজা শুভ ইসলাম, বোন লিলি বেগম ও ভাবি রাশিদা বেগমকেও পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার সাক্ষী নন্দলাল কর্মকার বলেন, আমার দোকানেই বসেই শাহজাহান সিরাজ তর্কবিতর্ক করেছে বাবুল চেয়ারম্যানের সঙ্গে। এখানও কোনো হামলা কিংবা চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি। শাহজাহান সিরাজ বলেন, আমি মিথ্যা মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করল কেন? আমার সাক্ষীরাই ঘটনার বর্ণনা পুলিশকে দেবে। নবীনগর থানার ওসি ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যুবদল সভাপতি সফিকের বিরুদ্ধে দুটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। পুলিশ সদস্যরা কোনো আসামির ওপর হামলা করেনি।