ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 5802 বার
নবীনগরের জিনদপুর বাজারে মিষ্টির দোকানগুলোতে অভিনব পন্থায় প্রতারণা শিরোনামে নবীনগর টুয়েন্টি ফোর ডট কম সাইটে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র নির্দেশে ওই দোকান গুলোর চিত্র পালটে গেছে। গত ২৮ অক্টোবর উক্ত সাইটে প্রকাশিত সংবাদে উল্ল্যেখ করা হয়, রতনপুর ইউনিয়নের ভিটিবিশারা গ্রামের সোহাগ গত ২৬ অক্টোবর বন্ধুর সাথে বেড়াতে আসেন জিনদপুর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে। মিষ্টি কেনার উদ্যেশে জিনদপুর বাজারের আল মদিনা মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে মিষ্ঠির খালি পেকেট দেখেই কৌতুহলবশত এর ওজন মাপতে গিয়ে দেখেন ২৮৬ গ্রাম। তিনি ভেবে দেখলেন ১৫০ টাকা কেজিতে মিষ্টি কিনলে প্যাকেটের দাম দিতে হবে ৪২ টাকা।
৫ কেজি মিষ্টি এরকম তিনটা প্যাকেটে কেনা হলে তিনি পাবেন ৪ কেজি । ওই হিসেবে এ বাজারের প্রতিটা দোকানে খালি প্যাকেটের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে তিনি মনে করছেন।
এছাড়াও ওই বাজারের খাজা মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকানে গিয়ে খালি প্যাকেটের ওজন পাওয়া গেছে ২৬২ গ্রাম। (খালি প্যাকেটের ওজন স্ব-স্ব দোকান থেকে মাপা হয়েছে)।
এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামকে অবগত করার পর তাতক্ষনিক তিনি জিনদপুর বাজারের ব্যবসা পরিচালনা কমিটিকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। শেষে ইউএনও’র নির্দেশে বাজার কমিটি মিষ্টির দোকান গুলোতে বেশি ওজনের কার্টুন ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন।
আজ মঙ্গলবার (১/১১) জিনদপুর বাজারের এ দুই মিষ্টির দোকানে গিয়ে খালি কার্টুন মেপে ১৫০ থেকে ১৬০ গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে, যা কিনা তিন দিন আগে ছিল ২৮৬ গ্রাম ওজনের প্যাকেট।