ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ২০ আগস্ট ২০১৬ | পড়া হয়েছে 6108 বার
১৮ আগষ্ট, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১ টা। মোত্তাকিন টের পায় তার বুকের উপরে রাহাতের অস্তিত্ব। অন্ধকারে বন্ধুকে অপরিচিত লাগছে। জোরপুর্বক আলিঙ্গনের চেস্টা। বহুকষ্টে ছাড়া পেয়ে দাড়াতে গেলে রাহাত আবারো তাকে ঝাপটে ধরে। দুই ঘন্টা আগের হাসি মুখখানা রাহাতের হিংস্র চাহনিতে গড়মিল ঠেকে মোত্তাকিনের কাছে। বদ্ধঘরে মোত্তাকিন নিরাপদ আশ্রয় খুজে। হাতের কাছে ছিল কাঠের টুকরা, তা দিয়েই রাহাতের মাথায় সজোরে আঘাত করলে সে মাটিতে গড়াগড়ি খায়, তখনি মোত্তাকিন তার গলা চেপে ধরে, নিশ্বাসের গতি বেড়ে যায় মোত্তাকিনের, থেমে যায় রাহাতের।
পুলিশের কাছে প্রাথমিক জবানবন্ধীতে এ কথা স্বীকার করে মোত্তাকিন। উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাম্মনহাতা গ্রামের হাদিম মিয়ার ছেলে রাহাত (১৭) খুন হলে এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মোত্তাকিনকে গ্রেফতার করা হয়। সে ব্রাম্মনহাতা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
সুত্র জানায়,পরস্পর দুই বন্ধু মিলে মোত্তাকিনের ঘরে একসাথে ঘুমাত। রাহাতের পরিবারের লোকজন মোত্তাকিনের দেখা না পেয়ে রাহাত ও তার মাকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, মোত্তাকিন সকালে বেড়িয়ে গেছে। পরে মোত্তাকিনের বাবা নিখোজ থাকার বিষয়ে থানায় অবগত করেন। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে মোত্তাকিনের সাথে কথা বললে তার কথাবার্তায় অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পাওয়ায় থানা অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ আহম্মেদ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওসির কাছে রাহাতকে খুন করার কথা স্বীকার করে সে। মোত্তাকিন এর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল বিকাল ৩ টায় পুলিশ ওই এলাকার জনৈক গোলাম মোহাম্মদ এর নির্মাণাধীন ঘরের ভিটির মাটি গর্ত খুড়ে রাহাতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত ও আলামত গোপন করায় মোত্তাকিন ও তার মা মহিমা বেগম (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাহাতের পিতা হাদিম মিয়া বাদী হয়ে মোত্তাকিন ও মহিমা বেগম এর বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।