আমিনুল ইসলাম | বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬ | পড়া হয়েছে 5975 বার
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর ও নবীনগর উপজেলার বড়াইল ও সাদেকপুর ইউনিয়নে বিরামপুর খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় গত ৫ দিন যাবৎ বিদুৎবিহীন হয়ে পড়ে প্রায় দুই ইউনিয়নে প্রায় ২৯ হাজার মানুষ।
৫ দিন যাবত বিদুৎবিহীন হওয়াই এতে চরম ভুগান্তিতে পড়ে শিশু-বৃদ্ধা ও স্কুল কলেজ পড়োয়া ছাএ-ছাএীরা।বিদুৎ না থাকার কারনে প্রচন্ড গরমে তারা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এদিকে, আকস্মিক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দুই ইউনিয়নে এক ধরনের ভুতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘ সময় বিদুৎ না পাওয়ার কারনে হাজারো গ্রাহকের অভিযোগ কোন কমতি ছিল না।সেই সাথে গ্রাহকরা বিদুৎ কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদুৎ সংযোগ যাতে পুনরায় ফিরে আসে।
বড়াইলের স্থানীয় বাসিন্ধা জনাব হুমায়ূন কবির জানান,গত ৫ দিন যাবৎ বিদুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি এই গরমে।সেই সাথে প্রবাসে যে আমার ছেলেদের সাথে সময়মত কথা বলবো সেই সুযোগও পাচ্ছি না।তারপরও বিদুৎতের অপেক্ষায় বসে আছি।অপর দিকে স্বপন মোল্লা অভিযোগের কোন কমতি ছিল না।তিনি জানান,আমার ফ্রিজে মাছ মাংস ভরে রেখেছিলাম কিন্তু গত কয়েক দিনের বিদুৎবিহীন হওয়ার এখন সবগুলো প্রচন ধরেছে।সেই সাথে আমার ছেলে-মেয়েদের বিদুৎ না থাকায় পড়াশুনা অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
অন্যদিকে সন্ধাবেলায় বাজারগুলে যেন মোবাইলেরর হাট বসেছে দেখলে মনে কিন্তু বাস্তবে অন্যচিএ পরিবার সদস্যদের সাথে একটু যোগাযোগ করতে তারা মোবাইলে দোকানগুলোতে ভীর জমাচ্ছে।জেনারেটরের মাধ্যমে চার্জ করার জন্য দীর্ঘ সময় কষ্ট করে টাকার বিনিময়ে মিলছে মোবাইলে একটু চার্জ।
এদিকে স্থানীয় বিদুৎ কর্মকর্তা মোঃশাহজাহান জানান,বিদুৎ সংযোগ না থাকায় সবারই কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমরাও সাধ্যমত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।আশা করা যায় আজ সন্ধানাগাত বিদুৎ আসার সম্ভবনা রয়েছে।