ডেস্ক রিপোর্ট | সোমবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 1738 বার
পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের নারায়নপুর গ্রামে বসত ভিটের সিএস,আরএস,বিএস, খাজনার রশিদ ও সাব-কাওলা দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র থাকার পরও ওই এলাকার তিন পরিবারের উপর প্রতিবেশী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাচ্ছে । ভুক্তভোগীরা ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশেষে সোমবার (৩/১০) দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উক্ত সম্মেলনে নারায়নপুর গ্রামের নারায়ন পাল, মন্টু পাল ও রবীন্দ্র পাল জানান , পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে নারায়ন পাল ২৮ শতক এবং মন্টু পাল ও রবীন্দ্র পাল ২ শতক ভিটা বাড়ির মালিকানা নিয়ে শতাধিক বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। তারা নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছেন।
কিন্তু প্রতিবেশী ডা: স্বপন পাল ২০০৬ সালে উক্ত ভিটাবাড়িটি তার মালিকানা দাবী করে উপজেলা ভুমি অফিসে অভিযোগ দাখিল করেও সুবিধা করতে পারেননি। এর পর থেকে গ্রাম্য শালিস ,দেওয়ানি ও ফৌজদারি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে মামলা করে অসহায় তিনটি পরিবারকে বারবার নাজেহাল করছেন। অবশেষে তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যামে সরকারের প্রশাসনিক মহলের কাছে এ ধরনের ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আবেদন জানান।
নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, আমি নারায়ন চন্দ্র পাল,পিতাঃ মৃত লব চন্দ্র পাল, আমি বর্তমানে নারায়নপুর মৌজা, হালে ৩৮০৪ দাগে (সাবেক ১০৪০) ৯০ শতাংশের আন্দরে ২৮ শতাংশ পৈতৃক সুত্রে মালিক। যা কিনা ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমার নামে খারিজ করি যার খতিয়ান নং ১৫৯৩ । উক্ত ভুমিতে আমার পুর্ব পুরুষেরা স্থায়ী বসবাস করে গেছেন যা কিনা শত বছরের উপরে হবে। একই দাগের ৯০ শতাংশের আন্দরে ২ শতাংশের মালিক আমার চাচাতো ভাই রবিন্দ্র পাল ও মন্টু পাল। বাকি ৬০ শতাংশের মালিক ওয়ারিশ সুত্রে বর্তমানে স্বপন চন্দ্র পালের ভোগ দখলে আছে।
নারায়ন চন্দ্র পাল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দিয়ে আরো বলেন,আমার পরিবারের জায়গা নিজের দাবী করে স্বপন পাল দফায় দফায় নোটিশ পাঠিয়ে কোন গতি করতে না পেরে বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। যা বর্তমানে চলমান। গ্রাম্য শালিশ, ভুমি অফিসের নোটিশ, দেওয়ানী আদালতে ও ফৌজধারী মামলা দায়ের,করে আমাকে মানসিক ভাবে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিচ্ছে।
নিজের জায়গা জমির সিএস,আরএস,বিএস,খাজনার রশিদ ও সাব কাওলা দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র থাকার পরও আজ আমি অসহায়। তাদের হুমকি দমকিতে পরিবারের লোকজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় বসবাস করছি। আর্থিক দিক দিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি ।আপনাদের মাধ্যামে সরকারের প্রশাসনিক মহলের কাছে এ ধরনের ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।