ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 1282 বার
কয়েক দিন পরেই শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধমীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ধূপ, কাশা, ঘণ্টা আর ঢাকের তালে তালে শুরু হবে শারদীয় উৎসব। তাই শেষ সময়ে চলছে মা দেবী দূর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ। সারা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পৌর এলাকার ভোলাচং কুমোর পাড়ার কুমোরেরা প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চলতি বছর প্রতিমার অতিরিক্ত চাহিদা থাকায় তৃপ্তির হাসি মুখে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। রাত দিন পরিশ্রম করেও কোন ক্লান্তি নেই কারিগরদের মনে। ফুরফুরে মেজাজ মুখের হাসি বলে দেয় গতবারের চেয়ে এবারের চিত্র ভিন্ন। এ প্রশ্নের জবাবে নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং কুমোর পাড়ার মিন্টু পালের ছেলে মরন পাল জানায়, গত বছর এ পাড়ার অনেকেই বানানো মুর্তি বিক্রি করতে না পেরে লোকসান গুনেছিল, এবারের পুজোয় মুর্তির অর্ডার আছে প্রচুর, অনেকেই কারিগরের অভাবে সেসব অর্ডার ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ওই তুলনায় এবারের পরিশ্রম স্বার্থকের পথে। সরজমিন ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এমন ব্যস্ততা সব কটি পরিবারের মাঝে লক্ষণীয়।
এবার উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নে ৯৭ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্ডপে শারদীয়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ বর্ণিল সাজে সজ্জিত করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দ্রুত শুরু হবে রঙ-তুলির কাজ। প্রতিমার সৌন্দর্য ও চাকচিক্য নিয়ে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের মধ্যে চলছে নীরব প্রতিযোগিতা। বাড়ির বৌ-ঝিয়েরাও প্রতিমা তৈরিতে রাতদিন পরিশ্রম করছেন। হইহুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে মাটির তৈরি প্রতিমার রূপ দিতে বাড়ির প্রবীণ কারিগররাও বসে নেই।
কুমার পল্লীর প্রবীণ কারিগর প্রফুল্ল চন্দ্র পাল, মন্টু পাল, অতিন্দ্র চন্দ্র পাল, হরে কৃষ্ণ পাল, গৌরাঙ্গ পাল, বাবুল পাল, পরিমল পাল, দুলাল পালের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিন দিন লোকসানের ফলে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। পূজাকে কেন্দ্র করে পূর্বে ঢোল-বাজনায় সাজ সাজ রব থাকলেও এখন আর তেমন নেই। ঢাকা বিক্রমপুর থেকে কারিগররা এসে বাড়ি বাড়ি প্রতিমা বানানোর ফলে কয়েক বছর বেশ মন্দা গিয়েছিল। তবে এবারের পুজার সংখ্যা বাড়ায় তাদের ব্যস্ততা ও বেড়েছে। তাই প্রতিমার অতিরিক্ত চাহিদার ফলে এবার লাভের দিক দিয়ে ভালোই হবে বলে তারা জানান। প্রতিটি পরিবার ২০ থেকে ৪০টি করে প্রতিমা তৈরি করে থাকেন। প্রতিটি প্রতিমা বিক্রি হয় ১৫ থেকে ১ লাখ টাকায়। তাদের বানানো মুর্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, মুরাদনগর, নরসিংদী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কদর আছে বলে জানান তারা।
এ উপলক্ষ্যে উপজেলার ইব্রাহিমপুর দাস পাড়া সাধন দাসের মন্দির, কালী বাড়ি মন্দির, গোপিনাথপুর, হরিসভা, পঞ্চিবটি, গিরিধারী আখড়া, শ্যামগ্রাম সহ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চলছে প্রানপন চেষ্টা।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |