ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 4704 বার
নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জের ১৭ কিলোমিটার সড়কের ১১ কিলোমিটার জুড়েই কোথাও বড় গর্ত, কোথাও ছোট। বিভিন্নস্থানে পিচ ও ইটের খোয়া উঠে এবড়োথেবড়ো হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পিচের চিহ্ন নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে ডোবাতে পরিণত হয়। এসবের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যান। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
এ চিত্র বহু আগের। এ ভোগান্তির অবসান ঘটাতে উক্ত সড়কের প্রসস্থকরন ও পুনঃসংস্কার কাজ গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে রাস্তার দুপাশে মাটি ফেলে সড়কটির প্রশ্বস্ততা ১২ থেকে ১৮ ফুট করা হয়েছে। কুমিল্লার মের্সাস হাসান বিল্ডার্স এন্ড হক এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন।
অজ্ঞাত কারনে মাঝপথে থেমে যায় সংস্কার কাজ। নির্ধারিত সময়ে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় জন চলাচলে ভোগান্তির মাত্রা দ্বিগুন হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হয় সংশ্লীষ্ঠরা। পরে দফায় দফায় কাজ সম্পন্ন করার তারিখ দিয়েও শেষ করতে না পারায় জনসাধারনের মাঝে নিরব ক্ষোভ কাজ করে।
অবশেষে নবীনগরের প্রধান এ সড়কের কাজ আবারো শুরু হচ্ছে। রাত পোহালেই শুরু হবে এর সংস্কার কাজ। এ কথা জানালেন নবীনগরের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এর একান্ত সহকারী সচিব এবিএস জাবেদ। তিনি নবীনগর টুয়েন্টি ফোর ডটকম’কে মুঠোফোনে জানান, আগামীকাল বুধবার (১১/১০) উপজেলার শেষ সীমানা বাঙ্গরা বাজার থেকে কাজ শুরু করা হবে। সে সময়ে তিনি উপস্থিত থেকে সংস্কার কাজের শুভ সুচনা করবেন। এছাড়াও ওই সময় জিনদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
কবে নাগাদ শেষ হবে সড়কের প্রসস্থকরন ও পুনঃ সংস্কারকাজ, এ প্রশ্নের জবাবে এবিএস জাবেদ জানালেন, নবীনগর থেকে বাঙ্গরা পর্যন্ত ১১ কিঃমিঃ সড়কের কাজ সর্বোচ্চ দেড় মাসে সম্পন্ন করা হবে।
সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, গত বছর ডিসেম্বর থেকে এই নয় কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ১৭ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এই বছরের ৩০ নভেম্বর এই কা্জ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ইসলাম বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি সড়কের ওয়ারিং কোডের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিটুমিনের কাজ শুরু করা হবে। মাস দেড়েকের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তাকে জানানো হয়েছে।