এস এ রুবেল | বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০১৬ | পড়া হয়েছে 1272 বার
আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। রাত পোহালেই শুরু হবে নবীনগর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচন উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরেই নির্বাচনী অঞ্চল গুলোতে চলছে উৎসব মুখর পরিবেশ। এই প্রথম বারের মত দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হচ্ছে। এ কারনে উপজেলা পর্যায়ের রাজনীতিবিদ গনও তাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে দিনরাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। দীর্ঘ সময় উপজেলা বিএনপি তাদের কার্যক্রমে অলস সময় কাটালেও এ নির্বাচনে তাদের ব্যাস্ত থাকতে দেখা গেছে। তারাও চাচ্ছেন তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ের মালা গলায় পরুক। সতন্ত্র প্রার্থীরা মনে করছেন দলীয় প্রতিকে এ নির্বাচনে ব্যাক্তি জনপ্রিয়তা মুখ্য বিষয় তাই তারা এ ব্যাপারে কোন কিছুই ভাবতে চাননা। অপরদিকে দলীয় প্রার্থীরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের মাঠে থাকায় জয় পরাজয়ের হিসেব মেলাতে বেগ পোহাচ্ছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রার্থীরাও হয়েছেন হামলার শিকার। নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে এক প্রার্থীকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। তারপরেও প্রশাসন মনে করছেন আগের দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে আগামিকালের (৩১/৩) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সমপন্ন হবে। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পাচ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নির্বাচনী এলাকা টহল দিচ্ছে। এছারাও পুলিশ,সেনা সদস্য,র্যাব ফোর্স নির্বাচনী এলাকা আইন শৃংখলা শান্ত রাখতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। নবীনগরের ১১টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে মোট ৪৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন, মেম্বার পদে ২৯৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।