| রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | পড়া হয়েছে 445 বার
রায়হান ভূঁইয়া জনি (২০) নামে এক বাংলাদেশীকে অপহরণের পর অমানবিক নির্যাতন করেছেন দুর্বৃত্তরা। লিবিয়ায় স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে দুর্বৃত্তরা রায়হানকে অপহরণ করে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরে নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও ফুটেজে দেশে পাঠিয়ে স্বজনদের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার হীরাপুর গ্রামের বাসিন্দা রায়হান ভূঁইয়া জনি । তার বাবা শাহনেওয়াজ দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা।
স্বজদের অভিযোগ, তিন মাস আগে অপহরণের পর অমানসিক নির্যাতনের ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে কয়েক দফায় ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে নেয় ওই প্রতারক চক্রটি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষদিকে স্বপ্নের দেশ স্পেনে যাওয়ার মনোবাসনা নিয়ে লিবিয়ায় পাড়ি জমান রায়হান ভুইয়া। চলতি বছরের জুন মাসে লিবিয়া থেকে জনি অপহরণ হন। অপহরনের পর থেকে তার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতনের সেই ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিবারের স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে তাদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে প্রতারক চক্রটি ।
ভিডিও দেখে লিবিয়ায় অবস্থানরত অপহরণকারী চক্রের নির্যাতন স্বজনরা সহ্য করতে না পেরে সর্বস্ব বিক্রি করে কয়েক দফায় দেশে ও বিদেশে অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্যদের কাছে পাঠায় ২৫ লাখ টাকা। তবে টাকা দিলেও জনি ভূঁইয়াকে এখনও তার স্বজনরা কাছে পাননি।
সম্প্রতি লিবিয়ার সেনাবাহিনী জনিকে উদ্ধার করে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে পাঠালেও তিনি এখন অসুস্থ। স্বাভাবিক চলাচলের শক্তি নেই তার। চোখেমুখে ভয়ের ছাপ আর নির্যাতনের চিহ্ন তার সমস্ত শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে।
জনির বাবা যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ বলেন, আমার ছেলেকে স্পেন পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় আটকে রেখে একাধিকবার বিভিন্ন অঙ্কে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে প্রতারক দালাল চক্র।
তিনি আরো বলেন, চক্রটির অমানসিক নির্যাতনে আমার সন্তানকে হারানোর ভয়ে এবং তাদের নির্যাতনের হাত থেকে সন্তানকে বুকে ফিরে পাব এ আশায় আমার সহায় সম্বল বিক্রি করে মুক্তিপণের টাকা দিয়ে অপহরণকারীর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করি। এখন কবে আমার মানিককে আমার বুকে ফিরে পাব সে আশায় পথ চেয়ে আছি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |