ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০১৬ | পড়া হয়েছে 2139 বার
আজ শিক্ষক দিবস। শিক্ষক দিবসের দিনে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৫/১০) দুপুর সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ীত্বে গাফিলতি ও স্বেচ্ছাচারিতা থাকায় এলাকাবাসী উক্ত প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে তালা লাগিয়েছে। তবে এ ঘটনায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তালা লাগানোর বিষয়টি জোড়ালো ভাবে আলোচনায় আসলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. হোসাইন কবির ছুটিতে ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি প্রতিষ্ঠানের দ্বিতল ভবনের এক কক্ষে থাকতেন।
তবে এ ঘটনায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানিজিং কমিটির লোকজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
তবে অন্য একটি সুত্র মতে, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি আলোচনায় এনে স্থানীয় গুটি কয়েক ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রশ্ন তুলেন তারা ।
স্থানীয় বাসিন্দা সালাম ফকির বলেন, গ্রামের কয়েকজন যুবক স্কুলে তালা লাগিয়েছে, তালা লাগিয়ে বের হওয়ার সময় তিনি সহ উপজেলা কৃষকদল নেতা হোসেন আহম্মদকে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গনে বসে থাকতে দেখা যায়। তবে কারা তালা লাগিয়েয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি সঠিক কারো নাম বলতে পারেনি।
সালাম ফকির মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের ফান্ডের টাকার হিসেবে গড়মিল ও ম্যানিজিং কমিটির কাউকে না জানিয়ে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যোৎসাহী হিসেবে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার নাম অফিস কক্ষের বোর্ডে লেখার অভিযোগ তুলেন।
তালা লাগানোর বিষয়ে জানতে কৃষকদল নেতা হোসেন আহম্মদের মোবাইল ফোনে একাদিক বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন সরকার জানায়, কে বা কাহারা প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে ও প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা লাগিয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন চলতি বছর গুটা উপজেলায় সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। এলাকার কারা এ নিন্দনীয় কাজে জড়িত তাদের খুজে বের করে আইনের হাতে তুলে দেয়ার কথা জানান তিনি। তিনি আরো বলেন এ বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে স্থানীয় কয়েকজন ভুল তথ্য দিয়ে স্ট্যটাস দিচ্ছে যা কিনা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও একজন শিক্ষকের মানহানী হচ্ছে।
নবীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ পিপিএম ‘নবীনগর টুয়েন্টি ফোর ডট কম’কে জানায়, কোন এক সময়ে এলাকার কেউ হয়তো সুযোগ বুঝে ওই প্রতিষ্ঠানের ২ কক্ষে তালা গুলি লাগিয়ে দেয়। শেষে বিষয়টি আলোচনায় আনতে তারা এলাকায় গুজব ছড়ায় এলাকাবাসী এ কাজ করেছে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে স্কুল সংলগ্ন শিবপুর ফাঁড়ি পুলিশ কে নির্দেশ দিয়েছি যাতে এ বিষয়ে নজর রাখে।