অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ১৬ মে ২০১৬ | পড়া হয়েছে 1966 বার
সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে সাবধনতা অবলম্বন ভীষণ জরুরী। সস্তায় বা কম দাম দেখে চট্ করে মোবাইলটি কিনবেন না। দেখা গেছে, দামী মডেলের যে মোবাইল গুলো কম বা অল্প দামে বিক্রি হয় সেগুলোর ৯০ শতাংশ চোরাই বা ছিনতাইকৃত মোবাইল। তাই এসব মোবাইল কেনার আগে ভালো করে দেখে ও যাচাই করে কেনাই যুক্তিসংগত। সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন কিনে কী বিপদেই না পড়েছিলেন ঠাকুরগাঁও এর মাহবুবুর রহমান অভি। চলুন আগে শুনে নেই সেই গল্পটা।
ঈদের ছুটি। মহা আনন্দে রাতের ট্রেনে কমলাপুর থেকে সোজা দিনাজপুর। তারপরে বাসে করে ঠাকুরগাঁও। ট্রেন এখনো আসেনি। প্লাটফর্মে বসে ছিলেন অভি। কিছুক্ষণ পরে পাশে এলেন এক ভদ্রলোক। “বাবা আমি বড্ড মুশকিলে পড়ে গেছি, হাসপাতালে আমার ছোট্ট মেয়ের সিরিয়াস একটা অপারেশন হচ্ছে, কিন্তু কোন টাকাই নেই আমার কাছে। আজ বিকালে বাড়ি থেকে আনা আশি হাজার টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে। সম্বল বলতে এই মোবাইলটা। প্লিজ আপনি যদি এই মোবাইলটা কিনেন তাহলে আমার অনেক উপকার হবে। এটি পুরো দাম দিতে হবে না, আপনি অর্ধেক দিন।”
লোভটা সংবরণ করতে পারেননি অভি। দশ হাজার টাকায় কিনে নেন Samsung এর দামী ঐ মোবাইলটি। তারপর বাড়িতে গিয়ে ঠিক তিনদিন পরেই গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দেখে অভিসহ পুরো পরিবার বাকরুদ্ধ। গোয়েন্দাদের ভাষ্যমতে এই মোবাইল থেকেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে জীবন নাশের হুমকী দেওয়া হয়েছিল।
প্রিয় পাঠক আমরা চাইনা অভির মতো এরকম বিড়ম্বনা কিংবা মামলা-মোকদ্দমায় আপনার নাম আসুক। চলুন জেনে নেই সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় মনে রাখা উচিৎ–
১। যার কাছ থেকে মোবাইলটি কিনছেন সে আপনার পরিচিত কি-না? অপরিচিত কারও কাছে মোবাইল না কেনাই ভালো। সেক্ষেত্রে আপনার বিড়ম্বনা বা বিপদে পড়ার সমূহ সম্ভবনা আছে। .
২। বিক্রেতার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, ছবি ও স্বাক্ষর রেখে দিন। এটি আপনার জন্য খুবই সহায়ক হবে। আপনাকে আইনী সহায়তা পেতে বা যেকোন বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৩। মোবাইল ফোনটি কেনার আগে দেকে নিন সেখানে কোন ধরনের ডিভাইস, ছবি, গোপন তথ্য বা রেকর্ডিং আছে কি-না? থাকলে সে মোবাইলটি কিনবেন না।
মোদ্দকথা এখন খুব কম দামেই বাজারে অনেক সুন্দর সুন্দর মোবাইল ফোন কিনতে পাওয়া যায়। তাই কী দরকার সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কিনে বিড়ম্বনা ডেকে আনার।